খাগড়াছড়ির বর্মাছড়িতে ইউপিডিএফ (মূল) এর নাশকতার পরিকল্পনা বানচাল: সেনা অভিযানে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা ব্যর্থ
খাগড়াছড়ি, ২৭ অক্টোবর ২০২৫ (সোমবার):
খাগড়াছড়ির বর্মাছড়ি এলাকায় ইউপিডিএফ (প্রসিত বিকাশ খীসা/মূল) এর নাশকতামূলক ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা বানচাল করেছে সেনাবাহিনী।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে রামসু বাজার এলাকায় ইউপিডিএফ সশস্ত্র সদস্যদের গুলিতে তিন পাহাড়ি যুবক নিহত হওয়ার পর সেনাবাহিনী পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম এলাকায় অভিযান শুরু করে। এ অভিযানের অংশ হিসেবে বর্মাছড়িতে অস্থায়ী পেট্রোল বেস স্থাপন করা হয়, যা বন বিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জমিতে অবস্থিত বলে সেনাবাহিনী জানিয়েছে।
অভিযানের কারণে ইউপিডিএফ সদস্যরা এলাকা ত্যাগ করে ফটিকছড়ির দুর্গম এলাকায় আশ্রয় নেয়। এরপর সংগঠনটি ধর্মীয় অনুভূতিকে উসকে দিয়ে নারী ও শিশুদের ব্যবহার করে আন্দোলনের চেষ্টা চালায় এবং বর্মাছড়ি অস্থায়ী পেট্রোল বেসকে আর্য কল্যাণ বিহারের অংশ দাবি করে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়াতে শুরু করে।
সেনাবাহিনীর দাবি অনুযায়ী, ইউপিডিএফের শীর্ষ নেতা প্রসিত বিকাশ খীসা ও অর্কিড চাকমার নির্দেশে ২৭–৩০ অক্টোবরের মধ্যে বৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠানের নামে সহিংসতার পরিকল্প
সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসন ও গণমাধ্যমের সামনে ইউপিডিএফপন্থীরা তাদের দাবির স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বর্মাছড়ির অস্থায়ী পেট্রোল বেস বন বিভাগের জমিতে স্থাপিত এবং তা কোনো ধর্মীয় স্থাপনার অন্তর্ভুক্ত নয়।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইউপিডিএফ নারী ও শিশুদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করে সেনা অভিযানে বাধা দিচ্ছে, যাতে সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ও আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি করা যায়। সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ ধৈর্য্য ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে অভিযান পরিচালনা করছে।
পরিস্থিতি বিবেচনায় সম্ভাব্য সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা এড়াতে বর্মাছড়ির অস্থায়ী পেট্রোল বেস অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে পার্বত্য অঞ্চলে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে সেনা অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সেনাবাহিনী দৃঢ়তার সঙ্গে জানিয়েছে, ইউপিডিএফসহ সকল রাষ্ট্রবিরোধী সংগঠনের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষায় তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

Comments
Post a Comment